Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

এক নজরে

উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল, সুন্দরগঞ্জ,  গাইবান্ধা এর কর্মসম্পাদনের সার্বিক চিত্র

(Overview of the Performance of the Upazila Livestock Office & Veterinary Hospital, Sundarganj, Gaibandha)

সাম্প্রতিক অর্জন, চ্যালেঞ্জ এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাঃ

 

       প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর দেশের প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পুরণের লক্ষ্যে গবাদিপশু, হাঁসমুরগি ও দুগ্ধ উৎপাদন বৃদ্ধিসহ সংরক্ষণ, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও জাত উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। শান্তিপ্রিয় গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বেশীরভাগ মানুষের পেশা কৃষি হলেও অনেকেই জীবন জীবিকা নির্বাহ করে গবাদিপশু ও হাঁস মুরগী পালন করে। প্রাণিসম্পদে সমৃদ্ধ এই উপজেলায় রয়েছে ৯৬,৮০০ টি গরু, ৩২৫ টি মহিষ, ৭৪,০৪৩টি ছাগল, ৭৬৩টি ভেড়া ছাড়াও প্রচুর হাঁস মুরগী। তাছাড়া এই উপজেলায় দুগ্ধ খামার রয়েছে ১৪৬ টি, গরু হৃষ্টপুষ্ট খামার রয়েছে ২৩৪ টি,  ছাগল খামার ১৩৫ টি, ভেড়ার খামার ২২ টি, ব্রয়লার খামার ৫৫ টি, হাঁসের খামার রয়েছে ৪০ টি । জনসংখ্যার প্রায় ২০% প্রত্যক্ষ এবং ৫০% পরোক্ষভাবে প্রাণিসম্পদ খাতের ওপর নির্ভরশীল। অধিকন্ত প্রাণিজ আমিষের প্রধান উৎস মাংস, দুধ ও ডিমের উৎপাদন বিগত তিন বছরে উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ইতোমধ্য মাংস ও ডিমে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে এই উপজেলা। চাহিদার তুলনায় দুধ উৎপাদনের পরিমান কম হলেও খুব দ্রুত সম্প্রসারিত হচ্ছে এই শিল্প। আশা করা যায় অতি অল্প সময়েই দুধেও স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করবে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা। বর্তমানে মাংস, দুধ ও ডিমের জন প্রতি প্রাপ্যতা বেড়ে যথাক্রমে ২৯৮ গ্রাম/দিন, ২১৬ মি.লি/দিন ও ১৪৭ টি/বছর এ উন্নীত হয়েছে যা দেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রাণিজ আমিষের চাহিদা মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। মাঠ পর্যায়ে গবাদিপশু ও হাঁস মুরগীর চিকিৎসা সেবা গ্রহণ সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। অধিদপ্তরের বিভিন্ন প্রকল্প/কর্মসূচীর মাধ্যমে খামারী প্রশিক্ষণ, ঘাস চাস সম্প্রসারণসহ লাগসই প্রযুক্তি হস্তাস্তর কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে বর্তমান সরকারের ভিশন-২১ এবং ৪১ অর্জনে সচেষ্ট প্রাণিসম্পদ দপ্তর, সুন্দরগঞ্জ।  

বিগত তিন বছরে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর, সুন্দরগঞ্জ এর  অর্জনসমূহ নিম্নরূপ:

উৎপাদিত পণ্য

২০১৯-২০২০

২০২০-২০২১

২০২১-২০২২

  • দুধ( মেট্রিক টন)

১২৪৩৪

১৮১৮৪

১৯২২৯

  • মাংস(মেট্রিক টন)

১১৭৯৯

১৮১৩৪

১৮৬২০

  • ডিম(কোটি)

১.৭৬

১.৭৭

২.০০
 

সমস্যা এবং চ্যালেঞ্জসমূহঃ

 

গবাদিপশুর গুণগত মানসম্পন্ন খাদ্যের অপ্রতুলতা, রোগের প্রাদুর্ভাব, সুষ্ঠু সংরক্ষণ ও বিপণন ব্যবস্থার অভাব, প্রযুক্তিগত জ্ঞানের অভাব, সচেতনতার অভাব, প্রণোদনামূলক উদ্যোগের অভাব, উৎপাদন সামগ্রীর উচ্চ মূল্য, যথাযথ বিপনণ ব্যবস্থা না থাকা, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, সীমিত জনবল ইত্যাদি প্রাণিসম্পদ উন্নয়নে অন্যতম চ্যালেঞ্জ।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাঃ

 

ভিশন ২০২১ অনুযায়ী জনপ্রতি দুধ, মাংস ও ডিমের চাহিদার লক্ষমাত্রা যথাক্রমে ১৫০ মিলি/দিন, ১১০ গ্রাম/দিন ও ১০৪টি/বছরে ইতোমধ্যে অর্জিত হয়েছে। গবাদিপশু ও পাখির রোগ নিয়ন্ত্রণ, নজরদারি, চিকিৎসা সেবার গুণগত মান উন্নয়ন এবং রোগ অনুসন্ধান গবেষণাগার স্থাপন।  দুগ্ধ ও মাংসল জাতের গরু উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কৃত্রিম প্রজনন কার্যক্রম সম্প্রসারণের মাধ্যমে গরু-মহিষের জাত উন্নয়ন। পশু খাদ্যের সরবরাহ বাড়াতে উন্নত জাতের ঘাস চাষ সম্প্রসারণ, টিএমআর প্রযুক্তির প্রচলন ও পশু খাদ্যের মান নিয়ন্ত্রণ গবেষণাগার স্থাপন। তা’ছাড়া প্রাণিসম্পদের টেকসই উৎপাদন নিশ্চিত করার পাশাপাশি প্রাণিজ আমিষের নিরাপত্তা বিধান, আপামর জনগোষ্ঠীর নিরাপদ প্রাণিজ পুষ্টির চাহিদাপূরণ, রপ্তানি আয় বৃদ্ধি ও অভিষ্ঠ জনগোষ্ঠীর অংশ গ্রহণের মাধ্যমে কাঙ্খিত আর্থসামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিতকরণ।

 

২০২২- ২৩ অর্থ বছরে  সম্ভাব্য অর্জনঃ

 

  • রোগ প্রতিরোধে ৫৭,৬০০ গবাদিপশু এবং ৫,০৩,৮০০ হাঁস মুরগীকে টিকা প্রদান করা।
  • প্রায় ১৬,০০০ রোগাক্রান্ত গবাদিপশু ও ৮৫,০০০ হাঁস-মুরগির চিকিৎসা প্রদান করা।
  • গবাদিপশুর  জাত উন্নয়নে  ৫,০৪০ গাভী কে কৃত্রিম প্রজনন করা।
  • রোগ অনুসন্ধানে ৯০ টি নমুনা সংগ্রহ করে গবেষণাগারে প্রেরণ করা।
  • প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ৫৫০ জন খামারীর এবং ২০ জন মাংস প্রক্রিয়াজাতকারীদের দক্ষতা বৃদ্ধি করা।
  • গবাদিপশু-পাখি পালনে সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ৪৭ টি উঠান বৈঠক পরিচালনা করা।
  • ০৫ টি গবাদিপশু ও ০১টি হাঁসমুরগীর খামার রেজিস্ট্রেশন করা। ১ টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা।
  • ০৯ একর জমিতে স্থায়ী ঘাস চাষ সম্প্রসারণ করা।
  • ৮০ টি খামার/ফিডমিল/হ্যাচারী পরিদর্শণ করা।
  • ০৬ টি ফ্রি ভেটেরিনারি মেডিকেল ক্যাম্প পরিচালনা করা।